GAU

শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হলে বিদায় ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন।

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার হলে অন্ত:হল পুরস্কার বিতরণী ও বিদায় সংবর্ধনা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হলের ১৭তম ব্যাচ কর্তৃক ১৬তম ব্যাচের বিদায়ী অনুষ্ঠান ও একই হলের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণী গতকাল ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ সন্ধ্যায় হলের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাকৃবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম এবং পরিচালক (গবেষণা) প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট ড. এ.বি.এম. রুবাইয়াত বোস্তামী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হলের সহকারী প্রভোস্ট আব্দুল কাদের, মোঃ সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য হলের প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরবৃন্দ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহসানউল্লাহ মাস্টার হলের ১৫,১৬ ও ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থীগণ। অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৬তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্মৃতিচারণ করেন মেহেদী হাসান, আব্দুল কাদের, এনামুল কবির হিমেল। পরে হলের পক্ষ থেকে উপাচার্য ও ট্রেজারারকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ড. রুবাইয়াত বোস্তামী। এরপর সভাপতির বক্তব্যে প্রভোস্ট বলেন, আহসানউল্লাহ মাস্টার হলের প্রতিটি শিক্ষার্থী অত্যন্ত অধ্যবসায়ী এবং বাধ্যগত হওয়ায় হলের সামগ্রিক পরিবেশ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে। এ সময় বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ দেন তিনি। সভাপতির বক্তব্যের পর অন্তঃহলে বিভিন্ন ইভেন্টে অনুষ্ঠিত বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন উপাচার্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসানউল্লাহ মাস্টার হলকে ঐতিহ্যবাহী হল উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, হল হলো এমন এক ক্ষেত্র যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা মানবিকতা ও সহমর্মিতা অর্জন করে থাকে। এ সময় পড়াশোনার জন্য শুরু থেকেই কঠোর পরিশ্রমী হবার তাগিদ দিয়ে ভিসি আরো বলেন, বৈশি^ক পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে বিধায় নিজেদের প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক প্রয়োজন পূরণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত তৎপর বলেও বক্তৃতায় উল্লেখ করেন উপাচার্য। মোঃ আপন দুলাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিদায় ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের শেষে হল শিক্ষার্থীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক রাতের আয়োজন করে।