GAU

গাকৃবিতে ১লা বশৈাখ উদযাপন।

 

বর্ণিল নানা আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিবর্তিত বাংলাদেশে নতুন বছর ১৪৩২ কে বরণ করেছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)। এ বর্ষবরণকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাসকে মনোমুগ্ধকর রঙিন সাজে সজ্জিত করা হয়। ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড আর আলোকসজ্জায় এ ক্যাম্পাস ছিলো উৎসবমুখর। পুরো ক্যাম্পাস জুড়েই বিরাজ করছিল পুরাতনকে বিদায় জানিয়ে নতুনকে স্বাগত জানানোর এক উষ্ণ প্রয়াস। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর নেতৃত্বে এক আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবন চত্বর হতে শুরু করে ক্যাম্পাসের বৈশাখী চত্বরে শেষ হয়। এ জাঁকজমকপূর্ণ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ সফিউল ইসলাম আফ্রাদ, শিক্ষক সমিতির সেক্রেটারি প্রফেসর ড. মোঃ মসিউল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, রেজিস্ট্রার মোঃ আবদুল্লাহ্ মৃধা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারবর্গ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রাইমারি ও হাই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। পরে সকাল ১০টায় সুরে-ছন্দে শহীদ মিনার সংলগ্ন বৈশাখী চত্বরে বর্ষবরণ ও বৈশাখী মেলা উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এ সময় পরিচালক (ছাত্র-কল্যাণ) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল আলম এর সভাপতিত্বে বাঙালির অন্যতম উৎসব পহেলা বৈশাখের উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে উপাচার্য উপস্থিত সকলকে বর্ষবরণের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে সকলের সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। উপাচার্য বলেন, এ বর্ষবরণের মধ্য দিয়ে আমরা প্রতি বছর নতুনকে আহ্বান জানাই এবং পুরাতন জীর্ণতাকে বিদায় দিই। এটি কেবল একটি উৎসব নয়, বরং আমাদের জাতিগত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক-বাহক। তিনি আরো বলেন, আমাদের কৃষিভিত্তিক সমাজে বাংলা বর্ষপঞ্জি ও পহেলা বৈশাখের একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দিনটি কৃষকের নতুন বছরের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়, যেখানে মাটির ঘ্রাণ, ফসলের গন্ধ আর মানুষের হাসিমাখা মুখ একত্রে মিলিত হয়। গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু দেশের কৃষি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তাই আমাদের দায়িত্ব গবেষণার পাশাপাশি আমাদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানানো এবং তা ধরে রাখা। বৈষম্যহীন গাকৃবি গড়ার লক্ষ্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করে শিক্ষা, গবেষণা এবং উদ্ভাবনে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য। আলোচনা শেষে বৈশাখী চত্বরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য, গান, নাটিকা পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতিমনা শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। এ দিকে বর্ষবরণকে ঘিরে বৈশাখী চত্বরে বাঙালি সংস্কৃতির খাবার, অলংকার, পোশাক, খেলনার বহুমুখী স্টল এ দিবসকে বহুমাত্রিক বৈচিত্র্য দান করেছে। উল্লেখ্য, এদিনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁধন’ গাকৃবি শাখা বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ের আয়োজন করেছে।